Table of Contents
কি খেলে বীর্য অনেক ঘন হয় এবং দ্রুত বীর্য পাত বন্ধ হয় ?
বীর্য পাতলা এবং দ্রুত বের হওয়ার বিভিন্ন কারণে হতে পারে ?
যেমন:
- বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ;
- ওষুধ;
- বয়স;
- জীবনযাত্রার কারণ;
- মানসিক কারণ;
- শারীরিক কারণ;
- ডিহাইড্রেশন;
- এবং হরমোনজনিত কারণ;
- হাইড্রেশন, ব্যায়াম, ১টি সুষম খাদ্য, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, ধূমপান তার সাথে মাদক পরিহার সহ বিভিন্ন জীবনধারার বদলানোর মাধ্যমে বীর্য অনেক ঘন হয় এবং দ্রুত বীর্য পাত বন্ধ হয়।
infertility & Health tips এর আপডেট তথ্য পেতে google news” অনুসরণ করুন।
বীর্য ঘন হলে কি হয় ?
ঘন স্পার্ম বলতে বোঝায় যে বীর্যের সান্দ্রতা বা সান্দ্রতা স্বাভাবিকের চেয়ে বহু থাকে, যা লিঙ্গ থেকে বীর্যপাত বা প্রবাহকে দৃঢ় করে তোলে। পুরু বীর্যও এলোমেলো, আঠালো বা Jelly এর মতো হতে পারে, যা শুক্রাণুর গতিশীলতায় কমাতে পারে তার সাথে নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে।
ছেলেদের বীর্য পাতলা হলে কি হয় ?
অন্যদিকে, বীর্য পাতলা বলতে বোঝায় স্বামী ও স্ত্রীর মিলনের সময় দ্রুত বীর্যপাত হওয়া। মিলনের সময় পরিপূর্ণ তৃপ্তি থাকে না। স্পার্ম প্রবাহ নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমাতে পারে এবং এটি অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির একটি চিহ্ন হতে পারে।
ঘন বীর্যের কি কারণে হয় ?
ঘন বীর্যের জন্য অবদান রাখতে পারে এমন বেশ কয়েকটি রিজন রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- ডিহাইড্রেশন:
- সংক্রমণ:
- ওষুধ;
- বয়স;
- লাইফস্টাইল ফ্যাক্টর;
ছেলেদের বীর্য পাতলা হওয়ার কি ?
ছেলেদের বীর্য পাতলা হওয়ার কারণ :
• মনস্তাত্ত্বিক কারণ: স্ট্রেস, উদ্বেগ, বিষণ্নতা, বা সম্পর্কের সমস্যাগুলি যৌন উত্তেজনা এবং কর্মক্ষমতা প্রভাবিত করতে পারে, যা অসময় বীর্যপাত বা অন্যান্য যৌন কর্মহীনতার দিকে পরিচালিত করে।
• শারীরিক কারণ: কতিপয় শারীরিক অবস্থা যেমন ইরেক্টাইল ডিসফাংশন, প্রোস্টাটাইটিস, বা স্নায়ুর লস স্বাভাবিক বীর্যপাতকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং অকাল বা বিলম্বিত বীর্যপাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
• হরমোনজনিত কারণ: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা ঘাটতি উদাহরণসরূপ টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কম বা থাইরয়েডের কর্মহীনতা যৌন ফাংশন তার সাথে স্পার্ম উৎপাদনকে প্রভাবিত করতে পারে, যা অসময় বা বিলম্বিত বীর্যপাতের দিকে চালিত করে।
কিভাবে বীর্যের মান উন্নত করা যায় ?
আপনি গভীর বীর্য, দ্রুত স্পার্ম বা বীর্যের আদার্স সমস্যা অনুভব করছেন না কেন, বীর্যের গুণমান সমৃদ্ধ করার তার সাথে মুক্তির কিছু উপায় রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি অন্তর্ভুক্ত:
• হাইড্রেট:
প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। দিনে কমপক্ষে 8 গ্লাস পানি পান করার লক্ষ্য রাখুন এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন, অ্যালকোহল তার সাথে চিনিযুক্ত পরিহার করুন।
• ব্যায়াম:
নিয়মিত ব্যায়াম হরমোন উত্পাদন বাড়াতে পারে, যা বীর্যের গুণমান এবং নিঃসরণকে পুষ্ট করতে সহায়তা করে।দিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিটের হাঁটা অথবা সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটা।
আরও জানুনঃ গর্ভবতী মায়ের প্রসব পরিকল্পনা কি ? ভালো প্রসব পরিকল্পনায় কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ?
• একটি সুষম খাদ্য খান:
একটি স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন যাতে নানারকম ধরনের ফল, শাকসবজি, আস্ত শস্য, চর্বিহীন আমিষ এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে তা পুষ্টি তার সাথে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করতে পারে যা স্পার্ম উদ্ভাবন তার সাথে গুণমানকে সাপোর্ট করে। প্রক্রিয়াজাত তার সাথে শীর্ষ চর্বিযুক্ত খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন ।
• স্ট্রেস পরিচালনা করুন:
দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা, রক্ত তার সাথে যৌন ক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে বীর্যের প্রবলেম হয়। মানসিক চাপ কমানোর কৌশল আয়ত্ব করতে হবে।
• ধূমপান এবং মাদকদ্রব্য পরিহার করুন:
ধূমপান এবং মাদকদ্রব্য বীর্যের গুণমান এবং গতিশীলতাকে নষ্ট করে দিতে পারে।
আরও জানুনঃগর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা এবং গর্ভবতী মায়ের খাবার ?
পুরুষের বীর্যের মান উন্নত করে যে খাবারগুলো বা বীর্য প্রস্তুত হয় কি খেলে ? বীর্যের ঘনত্ব বৃদ্ধির উপায় ?
মানুষের বীর্যে ঘাটতি থাকে তাহলে যৌনজীবনের সুখই নষ্ট হয়, একই সঙ্গে গর্ভধারণেও সমস্যা হয়। বীর্যের সমস্যা সমাধান করার খাবার ছাড়া অন্য কোন প্দ্ধতি নেই। পুরুষের বীর্যের মান উন্নত করে যে খাবারগুলো তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ
কলা:
কলা বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা অনেকটাই বাড়ায়। কলাতে বোমেনাইল নামের বিশেষ এক ধরনের উৎসেচক রয়েছে। এটা যৌন বোধের উদয় হরমোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। পুরুষের বীর্যেরমান উন্নত করে ।
তৈলাক্ত মাছ:
তৈলাক্ত মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটি বীর্যের গুণ বাড়াতে সহযোগিতা করে। গবেষনায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড জাতীয় মাছ খেলে বীর্যের গুণ ও পরিমাণ দুই-ই বাড়ে। তাছাড়া এটি মস্তিষ্কে যৌন উদ্দীপনার অনুভুতি জাগিয়ে তোলে।
আরও জানুনঃ মেয়েদের ডিম্বাণু বড় করার উপায় ? কি কি খাবার খেলে ডিম্বাণু বড় হয় ?
ডার্ক চকোলেট:
এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা যৌন উদ্দীপনা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও ডার্ক চকোলেটে এল-আর্জিনিন এইচসিএল ও অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় স্পার্ম কাইন্ট এবং পুরুষের বীর্যেরমান উন্নত করে।
রসুন:
রসুনে সেলেনিয়াম নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা বীর্যের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও রসুনে রয়েছে আলিকিন, যা যৌনাঙ্গে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে উদ্দীপনা প্রস্তুত করে। একইসঙ্গে বীর্যের ভলিউম বাড়ায়।
লেবুজাতীয় ফল: লেবুজাতীয় ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি থাকে। এই ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। পুরুষের বীর্যের মান সমৃদ্ধ করে। লেবু, আঙ্গুরের রস এই সমস্যায় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখে।
আরও জানুন: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কি ? পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম লক্ষণ ?
লতাকস্তুরী:
লতাকস্তুরী বীজের গুড়া বীর্য তীব্র ও বৃদ্ধি করে। এর বীজের গুড়া দেড় গ্রাম, এক গ্লাস ঠান্ডা জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে স্পার্ম ডেনসিটি বেড়ে যায়।এতে সামান্য আখের গুর বা মধু মিশিয়ে শরবত করে খেলে স্পার্ম ঘন হবে।
ইসুবগুলের ভূষি:
নিয়মিত ঘুমানোর আগে আপনি ইসুবগুলের ভূষি পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাবেন। ইসুবগুলের ভূষি একজন পুরুষের স্পার্ম এর কাউন্ট বৃদ্ধি করে।
শিমুল বা শতমুলী:
শিমুল তাঁজা অবস্থাতে কাঁচা চিবিয়ে খেলে বীর্য এর পরিমাণ এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। শিমুল হেতু বা শতমুলী খুবই উপকারি।
রামতুলসী:
রামতুলসী পাতার রস ১টি উপকারী উপাদান। আর এটি সবচেয়ে অধিক হিতকর করে ধ্বজভঙ্গের রোগীর। এটা মাত্র দুই সপ্তাহ নিয়মিত খেলে রোগীর স্বাভাবিক যৌন ক্ষমতা ফিরে আসবে। রামতুলসীর পল্লব রস করে ঈষৎ মধু মিশিয়ে ডেইলি রাতে ঘুমানোর পূর্বে সেবন করলে আপনার যৌন দূর্বলতা দূর হবে এবং বীর্য পরিমান মত বৃদ্ধি ও গাঢ় হবে।
কলমি শাক:
কলমি শাক আমাদের অতি পরিচিত শাক। আমরা সকলি জানি কলমি শাকের গুনাবলী ও পুষ্টিগুন আদার্স শাকের থেকে পর্যাপ্ত বেশি।
ঘুমানোর সময় একবার করে ডেইলি খেলে স্পার্ম প্রবল হবে ।
আলকুশী:
যৌবনে বয়সে নানা প্রকারভেদ কু-অভ্যাসের ফলে অতিরিক্ত শুক্র ক্ষয়ের মাধ্যমে মহামূল্যবান স্পার্ম গলিত হয়ে যায়। আলকুশীর পাকা বীজ চার থেকে পাঁচটি রাত্রিতে এক কাপ গরম দুধে ভিজিয়ে রেখে দিন। পরের দিন ভোরে বীজগুলোর কোসা ছাড়িয়ে মিহি করে বেটে অল্প গাওয়া ঘিয়ে বীজকে ভেজে নিতে হবে। ভাজাটা অতিশয় কড়াভাবে ভাজা চলবে না। ঠান্ডা হলে এক চামচ মিসরীগুড়ো মিশিয়ে ডেইলি একবার করে খেলে স্পার্ম তীব্র হয়ে যাবে।
বেল ও বেল পাতা:
বেশি বেল পত্রের রস খেলে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
আরও জানুনঃ গর্ভাবস্থায় সহবাস ? গর্ভাবস্থায় সহবাস করলে কি ক্ষতি হয় ? গর্ভাবস্থায় সহবাস করার উপকারিতা ?
গরুর মাংস :
গরুর মাংস সেক্স বৃদ্ধি ও বীর্য ঘাঢ় করতে অত্যান্ত কার্যকরী উপাদান। এইজন্য প্রতি সপ্তাহে দুই হতে তিন দিন গরুর মাংস খাওয়ার ট্রাই করুন।
বাদাম:
প্রত্যহ বাদাম খেলে প্রচুর পরিমানে বীর্য বৃদ্ধি ও মটিলিটি বাড়ায়।
পালং শাক
ফলিক অ্যাসিড শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সবুজ শাকসবজি ফলিক অ্যাসিডের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উত্স এবং পালং শাক প্রতিদিনের খাদ্য যোগ করুন ফলিক অ্যাসিড এছাড়াও পুরুষের বীর্যেরমান উন্নত করে এবং বীর্যে অস্বাভাবিক শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস করে, এটি ডিম্বাণুতে শুক্রাণুর কার্যকর অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা বাড়ায়।
আরও জানুনঃ গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সহজ ঘরোয়া পরীক্ষায় জেনে নিন ? ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা জানার উপায়?
অ্যাসপারাগাস:
অ্যাসপারাগাসে প্রচুর পরিমাণে এল-অ্যাসকরবিক অ্যাসিড রয়েছে এবং এটি শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক কার্যকর। এটি ফ্রি র্যাডিকেলগুলির সাথে লড়াই করার পাশাপাশি টেস্টিকুলার কোষগুলিকে রক্ষা করে, যা শুক্রাণুর সংখ্যা, গতিশীলতা এবং শুক্রাণুর গুণমানকে উন্নত করে এবং পুরুষের বীর্যেরমান উন্নত করে ।
কুমড়োর বীজ :
কুমড়োর বীজে ফাইটোস্টেরল রয়েছে যা শরীরে টেসটোসটেরন উত্পাদন আরও বিকাশ করতে পরিচিত এবং এটি শুক্রাণু গণনা এবং শুক্রাণু পরিপক্কতায় সহায়তা করে। এটি ওমেগা -3 অসম্পৃক্ত চর্বিগুলিতেও উপস্থিত থাকে যা রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং শুক্রাণুর সংখ্যা এবং শুক্রাণুর গতিশীলতা বাড়ায়।
আরও জানুনঃ প্রসব পরবর্তী বিপদ চিহ্ন বা প্রসব পরবর্তী জটিলতা ? নবজাতকের বিপদ চিহ্ন কয়টি ও কি কি?
শুক্রাণু ডিম্বাণুতে পৌঁছাতে তার সাথে ইমপ্লান্ট করতে কত সময় লাগে ?
একবার শুক্রাণু ভাজাইনাতে প্রবেশ করলে, ডিম্বাণুর কাছে পৌঁছাতে প্রায় 30-45 মিনিট সময় লাগতে পারে। এর জন্য, একটি সুস্থ শুক্রাণু থাকা জরুরি যা ডিম্বাণু পর্যন্ত পৌঁছানোর তার সাথে নিষিক্ত করার জন্য নির্ভুল গতিশীলতা রাখে। একবার একজন নারীর শরীরের ভিতরে, একটি সুস্থ শুক্রাণু 2-5 দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
খেজুর খেলে কি শুক্রানু বাড়ে ?
খেজুর পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট এবং স্পার্ম কোয়ালিটি বৃদ্ধি করতে সাহায্যে করে। খেজুরে এস্ট্রাডিওল ও ফ্ল্যাভোনয়েড থাকার কারণে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে সহয়তা করে। সুতরাং নিয়মিত পুরুষদের অবশ্যই খেজুর খাওয়া দরকার।
আরও জানুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি সমস্যা হয় ? গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেস কি ? মর্নিং সিকনেসে স্ত্রীর চিকিৎসা ?
মধু খেলে কি বীর্য ঘন হয় ?
ভিটামিন ই ও জিঙ্ক মধুতে থাকায় এটি সেক্স স্টিমুল্যান্ট হিসেবে কাজ করে । মধু পুরুষের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং শুক্রাণুর পরিমাণ, শুক্রাণুর গতি এবং গুনণত মান বৃদ্ধি করে।
ডিসক্লেইমার: এখানে উপরোক্ত হেলথটিপস এবং পরামর্শগুলি অনুসরণ করার পূর্বে , ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।
রিলেটেড ট্যাগঃ পুরুষের বীর্যেরমান উন্নত করে,কি খেলে বীর্য উৎপাদন হয়,কি খেলে বীর্য অনেক ঘন হয় এবং দ্রুত বীর্য পাত বন্ধ হয়,বীর্য বৃদ্ধির উপায়?,