মেয়েদের ডিম্বাণু কি ?


ডিম্বাণু  শব্দের  ইংরেজি: Egg Cell কিংবা  Ovum বলা হয়। মেয়েদের ডিম্বাণু বলতে মেয়েদের স্ত্রীজননকোষ বলা হয় যা মানুষের যৌন জনন প্রক্রিয়ায় শুক্রাণুর দ্বারা নিষিক্ত হয়ে মানব ভ্রুণ তৈরী করে । মেয়েদের  ডিম্বাণু সাধারনত ২৩টি ক্রোমোসোম ধারণ করে থাকে এবং শুক্রাণু ২৩টি ক্রোমোসোম থাকে।  শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর মিলনের ২৩ জোড়া  ডিম্বাণু ডিপ্লয়েড যা প্রথমে জাইগোট তৈরী করে মানবভ্রুণ তৈরী করে এবং পরিপূর্ণ মানব তৈরী হয়। 

infertilityorg

infertility & Health tips এর আপডেট তথ্য পেতে google news” অনুসরণ করুন

মাসিকের কতদিন পরে ডিম্বাণু বের হয় ?

সব মহিলার মাসিক ৩০ দিনের হয় না। সাধারণত মাসিক চক্র ২১ থেকে ৩৯ দিনের মধ্যে তাকে স্বাভাবিক ধরা হয়। যাদের নিয়মিত মাসিক হয় তাদের মাসিকের শুরু দিন থেকে ১১- ১৬ তম দিনের মধ্যে ওভারী হতে ডিম্বাণু বের হয়।

আপনার মাসিকের কত দিন পরে আপনি গর্ভবতী থেকে পারেন?

মাসিকের শুরু দিন থেকে ১১- ১৬ তম দিনের মধ্যে ওভারী হতে ডিম্বাণু বের হয় এবং স্বামী স্ত্রী মিলনের ফলে গর্ভধারণের সম্ভবনা সবচেয়ে বেশী থাকে। এই মহিলাদের ওভারী হতে ডিম্বাণু বের হয় ফ্যালিপিয়ান টিউবে আসে  এবং এই সময় শুক্রাণু নিষিক্ত হয় এবং জাইগোট তৈরী করে।

আরও জানুনঃ দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা ? দ্রুত বীর্য পাতের প্রাকৃতিক চিকিৎসা এবং দ্রুত বীর্য পাত রোধের উপায় ?

মেয়েদের ডিম্বাণুর পরিমান কত ?

মেয়েদের দুইটি ডিম্বাশয় থাকে। একমাসে যদি ডান ডিম্বাশয় থেকে বের তাহলে পড়ের মাসে বাম পাশের ডিম্বাশয় থেকে ‍ডিম্বাণু বের হয়। মেয়েদের ডিম্বাণুর পরিমাণের দুই ধরণের তথ্য রয়েছে। মেয়েদের সারা জীবনে ৪০০ থেকে ৪৫০ ডিম্বাণু বের হয় অথবা  ডিম্বাণুর পরিমাণ এক মিলিয়ন। মাসিক শুরু থেকে ডিম্বাণু বের হলে মেনোপজের সময় অর্থাৎ মাসিক বন্ধ হলেও ১০০০ হাজার হতে ২০০০ হাজার ডিম্বাণু অবশিষ্ট থাকেবে।

নিষিক্ত ডিম্বাণুকে কি বলে?

শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর মিলনের ফলে ভ্রুণ বা এমব্রায়ু  তৈরী হয় এবং এটি আস্তে আস্তে কোষ বিভাজনের ফলে বড় হতে থাকে, এটি নিষিক্ত ডিম্বাণু বা জাইগোট বলা বলা। নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুতে ইমপ্লান্ট হয় এবং পরিপূর্ণ শিশুতে পরিণত হয়।

আরও জানুনঃ কি খেলে বীর্য অনেক ঘন হয় এবং দ্রুত বীর্য পাত বন্ধ হয় ? পুরুষের বীর্যের মান উন্নত করে যে খাবারগুলো বা বীর্য প্রস্তুত হয় কি খেলে ?

আপনি ডিম্বাণু ইমপ্লান্টেশন অনুভব করতে পারেন ?

 
ইমপ্লান্টেশন ক্র্যাম্পিং তার সাথে রক্তপাত এগুলি ইমপ্লান্টেশনের কারণে হয়, যখন নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুর আবরণের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। ডিম্বস্ফোটনের কয়েক দিন পরে ইমপ্লান্টেশন ক্র্যাম্পগুলি নীচের পিঠে, পেটে বা শ্রোণীতে ঘটতে পারে।

৫০ বছর বয়সে কি গর্ভবতী হওয়া যায় ?


আপনি যদি ৫০বছর বয়সের পরে গর্ভবতী হওয়ার চেষ্টা করেন তবে আপনার হয়তো কয়েকটি উর্বরতা টিপস এর সহায়তার প্রয়োজন হবে। তবে ৫০ বছর বয়সে স্বাভাবিকভাবে গর্ভবতী হওয়া একবারে  অসম্ভব নয়, ৫০ বছর বয়সে কি গর্ভবতী হওয়া অনেক বিরল ঘটনা । মহিলারা তাদের সব ডিম নিয়ে জন্মায় এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সাথে আপনার ডিম কম থাকে তার সাথে তাদের অস্বাভাবিকতা হওয়ার সম্ভাবনা অধিক থাকে।

কত বছর বয়সে মহিলাদের উর্বরতা বন্ধ হয় ?

মেয়েদের উর্বরতা সর্বোচ্চ থাকে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে । ৩০ বছরের পর আস্তে আস্তে গর্ভ ধারেণের সম্ভবনা কমতে থাকে। ৪৫ বছর বয়সে গর্বধারণের ক্ষমতা বা  গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে গর্ভধারণ অসম্ভবও নয়।

আরও জানুনঃ গর্ভাবস্থায় রক্তের চাপ বেড়ে যাওয়া এবং গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ হলে কি হয় ? গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করণীয় ?

মেনোপজের পর কি গর্ভবতী হতে পারে ?


আপনি যখন পোস্টমেনোপজে পৌঁছেছেন, তখন আপনার হরমোনের মাত্রা ডিম্বস্ফোটন এবং স্বাভাবিক গর্ভধারণের জন্য আর যোগ্য নয় এবং জন্মনিয়ন্ত্রণের আর প্রয়োজন নেই। যাইহোক, এখনও আপনার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে – ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF) এর সাহায্যে । মেনোপজের পর আইভিএফ পর্যাপ্ত ক্ষেত্রে সাকসেস বলে প্রমাণিত হয়েছে।


মেয়েদের ডিম্বাণু কতদিন জীবিত থাকে ?


মেয়েদের ডিম্বাণু সাধারণত ২৪ ঘন্টা জীবিত থাকে। এ জন্য গর্ভধারণের জন্য সময়মত মেলামেশা করা অত্যন্ত জরুরী।

গর্ভপাতের পর ডিম্বাণু বের হয় ?

গর্ভপাতের প্রায় ২ সপ্তাহ পর ডিম্বাশয় থেকে নিয়মিত ডিম্বাণু বের হওয়া শুরু হয়।

ডিসক্লেইমার: এখানে উপরোক্ত হেলথটিপস এবং পরামর্শগুলি অনুসরণ করার পূর্বে , ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।

রিলেটেড ট্যাগঃ মেয়েদের ডিম্বাণু কি ?মেয়েদের ডিম্বাণু কি , ডিম্বাণু কাকে বলে,মেয়েদের ডিম্বাণু কখন তৈরি হয় ? ,নারীর ডিম্বাণু কি হয় ?,গর্ভপাতের কতদিন পর ডিম্বাণু বের হয়, মেয়েদের ডিম্বাণুর সংখ্যা, মেয়েদের ডিম্বাণু কতদিন জীবিত থাকে, ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন, নিষিক্ত ডিম্বাণু কি, ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার লক্ষণ