প্রসব পরিকল্পনা (Birth Plan) কি ?

প্রসব পরিকল্পনা হচ্ছে প্রসবের জন্য পরিকল্পনা, যা একজন মা ও তার পরিবার গর্ভকালীন সময়ে করে থাকেন। প্রসব পরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন প্রসব । প্রসব পরিকল্পনার বিষয়গুলোর মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য:

infertilityorg

infertility & Health tips এর আপডেট তথ্য পেতে google news” অনুসরণ করুন

প্রসবের স্থান কেমন হবে ?

গর্ভাবস্থায় মোটামুটি মাঝামাঝি সময়েই প্রসবের স্থান নির্ধারণ করে রাখুন । এই স্থান নির্ধারণে যে বিষয়টা সবচেয়ে বিবেচ্য তা হলো, আপনার প্রসবের সময়ে একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে আপনার পাশে থাকতে হবে। এ ছাড়া প্রসবকালীন জরুরী অবস্থা মোকাবিলা করার মতো পর্যাপ্ত সুবিধা উক্ত প্রসবস্থানে রয়েছে কিনা সে সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে হবে ।

পরিবহন ব্যবস্থা কেমন হবে ?

প্রসব বেদনা শুরু হলেই প্রসব স্থানে পৌঁছানোর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটা পরিবহন ব্যবস্থার। মনে রাখবেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রসব ব্যথা সাধারণত অসময়েই শুরু হয়। কাজেই আগে থেকে ব্যবস্থা না নিলে প্রয়োজনের সময় পরিবহনের অভাবে আপনার প্রসবস্থানে পৌঁছাতে বিলম্ব হতে পারে। আর এতে মা বা বাচ্চার বা উভয়ের ক্ষতি হতে পারে । মনে রাখবেন, প্রসব পরিচর্যা বিলম্বের ফলে মা ও শিশুর মৃত্যুও হতে পারে ।

আরও জানুনঃ গর্ভাবস্থায় রক্তের চাপ বেড়ে যাওয়া এবং গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ হলে কি হয় ? গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করণীয় ?

প্রসব পরিকল্পনা কি
প্রসব পরিকল্পনা কি

প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় ?

প্রসব ব্যথা শুরুর আগেই আপনার ও আপনার আগামী সন্তানের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় সংগ্রহ করে রাখতে পারেন । আপনার জন্য ম্যাক্সি বা গাউনজাতীয় কাপড়-চোপড় এবং বাচ্চার জন্য বড় তোয়ালে সংগ্রহে রাখতে পারেন ।

মেডিকেল রেকর্ড ?

গর্ভাবস্থায় আপনার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাগজপত্রগুলোকে একটি ফাইল আকারে সাজিয়ে রাখার ব্যবস্থা করুন এবং প্রসব ব্যথা শুরু হলে প্রসবস্থানে যাওয়ার সময় এই ফাইলটি অবশ্যই সাথে নিতে ভুলবেন না । এই ভুলের জন্য অনেক সময় প্রসূতি মায়ের চিকিৎসা শুরু করতে বিলম্ব হয়। যার কারণে নানাবিধ জটিলতা দেখা দিতে পারে ।

আরও জানুনঃ ওভুলেশন কি ? ওভুলেশন কিভাবে হয় ? ডিম্বাণু কত দিন জীবিত থাকে|গর্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময় বোঝার উপায় ?

প্রসব পরিকল্পনা কখন করতে হয় ?

মাতৃগর্ভে মানবশিশু সাধারণত: ৯ মাস ১০ দিন অবস্থান করে ।

গর্ভকালীন সময় সাধারণত ৪০ সপ্তাহ হয়ে থাকে। কিন্তু আগেই বলেছি, ৪০ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগে বা পরেও সন্তান প্রসব হতে পারে । কাজেই ডাক্তার সাহেব সন্তান প্রসব হওয়ার যে প্রত্যাশিত তারিখ দিয়ে থাকেন, তা নিতান্তই একটি আনুমানিক দিন । বেশির ভাগ সন্তানই এই তারিখের আগে বা পরে জন্মগ্রহণ । সন্তান যদি এই প্রত্যাশিত তারিখের ২ সপ্তাহ আগে বা পরে জন্মগ্রহণ, তবে সাধারণত কোন ক্ষতি হয় না, যদি গর্ভবতী মা সব সময় ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থাকেন । এজন্য এ সময়ের আগে থেকেই প্রসব পরিকল্পনা কখন করতে হবে।

ডিসক্লেইমার: এখানে উপরোক্ত হেলথটিপস এবং পরামর্শগুলি অনুসরণ করার পূর্বে , ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।

রিলেটেড ট্যাগঃ ভালো প্রসব পরিকল্পনা কি ? প্রসব পরিকল্পনা কি