Table of Contents
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ কি কি ? প্রসব ব্যথা বা ডেলিভারির ব্যথা কেমন হয় এবং শুরু হওয়ার লক্ষণ সমূহ ?
সন্তান হওয়ার সময় মায়ের বেশ কষ্ট হয়। আর এ জন্যই এর নামকরণ করা হয়েছে লেবার বা পরিশ্রম ।
- প্রসবের ব্যথা সাধারণত কোমর থেকে শুরু করে সামনের দিকে আসে এবং দুই উরুর মধ্যবর্তী স্থানে শেষ হয়।
- ডেলিভারির ব্যথা প্রথমে বেশ সময়ের ব্যবধান হতে থাকে ।
- কিন্তু সময়ের সাথে সাথে দুই ব্যথার মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধানে কমতে থাকে ।
- প্রসব ব্যথার সাথে সাথে যৌননালী হতে একটু রক্ত নির্গত হয়ে থাকে । এই রক্ত দেখতে রক্ত ও থুথুর সংমিশ্রণে যেমনটি দেখায় তেমন হয় । একে শো’ বলা হয় ।
- প্রথম ব্যথার সময় ব্যথা ও শো’য়ের সাথে সাথে জরায়ুর মুখ খুলতে থাকে ।
চিকিৎসক পরীক্ষা করে বলতে পারেন যে, রোগিণী প্রসব ব্যথায় আছেন কি নেই ।
infertility & Health tips এর আপডেট তথ্য পেতে google news” অনুসরণ করুন
সন্তান প্রসবের ৩টি পর্যায় কি কি ?
প্রসবের সময়কে তিনটি স্টেজে ভাগ করা হয় ।
- প্রসব ব্যথা শুরু থেকে জরায়ুর মুখ সম্পূর্ণ খোলা পর্যন্ত সময়কে প্রথম স্টেজ বলে ।
- জরায়ুর মুখ সম্পূর্ণ খুলে যাওয়া থেকে সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত সময়কে দ্বিতীয় স্টেজ বলে।
- সন্তান প্রসব হওয়া থেকে ফুল (Placenta) বের হওয়া পর্যন্ত সময়কে তৃতীয় স্টেজ বলে ।
সন্তান প্রসবকালীন ব্যথা নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন প্রকার ওষুধ আছে এগুলো ইনজেকশন বা গ্যাসের আকারে পাওয়া যায় । প্রসবকালীন সময়ে রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী এই ওষুধগুলো ডাক্তার ব্যবহার করে থাকেন ।
ইপিসিওটমি বা সাইড কাটা ডেলিভারি কি ?
- স্বাভাবিক ডেলিভারীর সময় যৌন মুখ সমান্য কেটে বড় করা হয় যাকে ইপিসিওটম বলা হয়।
- স্বাভাবিক প্রসবের পর মাসিকের রাস্তায় সেলাই করা জায়গার সন্তান প্রসব করার সময়ে যদি যৌননালীর মুখ ছোট মনে হয় তবে সেখানে একটু কেটে জায়গাটা বড় করে দেওয়া হয় । এতে কোনো ব্যথা পাওয়া যায় না । কারণ জায়গাটা কাটার আগে ইনজেকশন দিয়ে অবশ করা হয়। এভাবে যৌননালী কাটাকে ইপিসিওটমি (Episiotomy) বলে। এই ইপিসিওটমি দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো যৌননালীকে ছিঁড়ে যাওয়া হতে রক্ষা করা । কারণ ছিঁড়ে গেলে তা সঠিকভাবে সেলাই করা যায় না । ইপিসিওটমি দিয়ে যেহেতু সুন্দরভাবে কাটা হয় তাই সেলাই করা খুবই সহজ ।
- প্রসবের দ্বিতীয় স্টেজে যদি মা বা শিশুর বিশেষ কোনো সমস্যা দেখা দেয় অথবা দ্বিতীয় স্টেজ দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে ভেনটোজ নামক যন্ত্র ব্যবহার করে সন্তানকে টেনে বের করে আনা হয়। সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে মেথার্জিন নামক এক প্রকার ইনজেকশন দেওয়া হয়। এটি সন্তান প্রসবের পর রক্তক্ষরণ বন্ধ করে ।
সাইড কাটা মায়েদের পরবর্তীতে করণীয় ?
ইপিসিওটমী বা মাসিকের রাস্তায় সেলাই দেওয়া হলে এর বিশেষ কোন যত্নের প্রয়োজন হয় না। স্বাভাবিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাই এর জন্য যথেষ্ট।
আমাদের দেশে বেশির ভাগ সন্তানই দাই বা ধাত্রী দ্বারা প্রসব করানো হয় । তাই মনে রাখতে হবে যে, দাই বা ধাত্রীকে অবশ্যই রোগী দেখার আগেই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে । সম্ভব হলে জীবাণুমুক্ত রাবারের গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে । বাড়িতে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর যদি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় বা যদি ফুল বেরিয়ে আসতে দেরি হয় তবে অবশ্যই রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে ।
এম্বুলেন্সের সুবিধা থাকলে, এর সাহায্যে দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তর করাই উত্তম । প্রসব ব্যথা শুরু হওয়ার পরপরই হাসপাতালে যাওয়া উচিত । কিন্তু যিনি প্রথম বারের মতো সন্তান প্রসব করতে যাচ্ছেন তিনি খুব তাড়াহুড়ো না করে ব্যথা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে গর্ভস্থ সন্তানের চারিদিকে জরায়ুতে যে পানি থাকে তা যদি ভেঙ্গে যায় তবে অবশ্যই যত শীঘ্র সম্ভব হাসপাতালে পৌঁছানো উচিত ।
আরও জানুনঃ গর্ভাবস্থায় যে সব ভিটামিন খাওয়া যাবে না এবং কোন ভিটামিন খাওয়া যাবে ?
প্রসব বেদনার কত সময় থাকে ?
প্রসব বেদনার সময়কাল (Duration of Labor):
যিনি প্রথম বার মা হচ্ছেন তার বেলায় প্রসব বেদনা ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে । আর যিনি ইতিপূর্বে মা হয়েছেন, তার ৮ ঘণ্টা ধরে হয়ে থাকে । প্রসব বেদনা শুরু হওয়া থেকে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর গর্ভফুল বের হওয়া পর্যন্ত এই সময় গননা করা হয় ।
ডিসক্লেইমার: এখানে উপরোক্ত হেলথটিপস এবং পরামর্শগুলি অনুসরণ করার পূর্বে , ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।
রিলেটেড ট্যাগঃ প্রসব ব্যথা শুরু হওয়ার লক্ষণ, নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ, নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ কি কি, নরমাল ডেলিভারি ব্যাথা কেমন, প্রসব ব্যথা কেমন হয় ডেলিভারির ব্যথা কেমন হয়?, ডেলিভারির আগের লক্ষণ,জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ ?নরমাল ডেলিভারির লক্ষণ কি ?