Table of Contents
শুক্রাণু বলতে পুরুষ প্রজনন কোষকে বোঝায় যা অণ্ডকোষে উৎপন্ন হয়। শুক্রাণু এবং ডিম্বানুর মিলনের ফলে গর্ভাবস্থা তৈরী হয়। স্বামী এবং স্ত্রীর মিলনের সময় বীর্যপাতের সঙ্গে বীর্য স্ত্রীর জরায়ুতে প্রবেশ করে সেখান থেকে, শুক্রাণু মহিলাদের ডিম্বাশয় দ্বারা নির্গমনকৃত ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার জন্য জরায়ুমুখের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করে।
infertility & Health tips এর আপডেট তথ্য পেতে google news” অনুসরণ করুন
পুরুষের শুক্রাণুতে ২৩টি ক্রোমোসোম থাকে এবং নারীর ডিম্বাণুর ২৩টি ক্রোমোসোম থাকে । পুরুষের ২৩ জোড়া এবং নারীর ২৩ জোড়া ক্রোমোসোম সঙ্গে একত্রিত হয়ে ৪৬টি ক্রোমোসোম বিশিষ্ট ডিপ্লয়েড কোষ তৈরি করে। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ভিতরে শুক্রাণু এপিডিডিমিসে সঞ্চিত থাকে এবং বীর্যস্খলনের সময় বীর্য নামের তরলের সাহায্যে শুক্রাণু নির্গত হয়।
সাধারণত শুক্রাণু তৈরি করার জন্য প্রায় তিন মাস সময় লাগে। শুক্রাণু তৈরীর প্রক্রিয়া অবিচ্ছিন্ন. অণ্ডকোষ ক্লান্তিহীন শুক্রাণু তৈরী এবং সঞ্চয় করে। একজন পুরুষের শরীরের মধ্যে, পরিপক্ক শুক্রাণু অণ্ডকোষের ভিতরে কয়েক সপ্তাহ বেঁচে থাকতে পারে।
আরও জানুনঃগর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা এবং গর্ভবতী মায়ের খাবার ?
পুরুষের শুক্রাণু সারা জীবন তৈরী হয়। ৩৫ বছরের পর শুক্রাণু তৈরীর পরিমাণ কমতে থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শুক্রাণুর গতিশীলতা, আয়তন এবং জেনেটিক গুণগত মান কমতে থাকে এবং গর্ভধারণের সম্ভবনা কমতে থাকে।
শুক্রাণু তার সাথে ডিম্বাণুর বেঁচে থাকার সময় যথাক্রমে 1.4 দিন তার সাথে 0.7 দিন বলে ধারনা করা যায়। শুক্রাণুর ৪.৪ দিনের অধিক বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৫% এবং ৬.৮ দিনের বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা 1% থাকবে।
সংক্ষেপে, হ্যাঁ । যদিও বেশিরভাগ পুরুষ ৫০ বছর বয়সে সন্তান ধারণ করতে পারে। কিন্তু ৪০ বছর বয়সের পরে এটি আস্তে আস্তে অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ে এবং এর অনেকগুলি রিজন রয়েছে, যার ভিতরে রয়েছে: বয়সের সাথে শুক্রাণুর গুণমান কমতে থাকে।
একজন সুস্থ পুরুষের ক্ষেত্রে প্রতিবার বীর্যপাতে ১.৫ থেকে ৫ মিলিলিটার বীর্য নির্গমনকৃত হয়ে থাকে। স্বাভাবিক ভাবে প্রতি ১ মিলিলিটার বীর্যের ভিতরে ১৫ হতে মেক্সিমাম ২০০ মিলিয়ন পর্যন্ত শুক্রাণু থাকতে পারে।
সর্বনিম্ন ১৫ মিলিয়নের কম শুক্রাণু থাকে তাহলে তাকে অলিগোস্পার্মিয়া (Oligospermia) বলা হয় । সন্তান ধারণ করার জন্য সুস্থ সবল একটি শুক্রাণুই যথেষ্ট। কিন্তু ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য শুক্রাণুকে জরায়ুর ভেতরে অনেক লম্বা পথ অতিক্রম করতে হয়। এই সময় অধিকাংশ শুক্রাণু মারা যায় । তবে গর্ভধারণের জন্য একটি শুক্রাণুই ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে গর্ভবাস্থার সৃষ্টি করে। আর তাই ১ টি নয়, বরং মিনিমাম ১৫ মিলিয়ন শুক্রাণু প্রতি মিলিলিটারে কিংবা ৩৯ মিলিয়ন প্রতিবার বীর্যপাতে না থাকলে সেক্ষেত্রে সন্তান উৎপত্তি দেওয়ার সামর্থ্য প্রচুর কমে যায় বলে মনে করা হয়। শুধুমাত্র সংখ্যা নয়, বরং সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য শুক্রাণুর আরো ২ টি তাৎপর্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরী।
Sperm Motiltiy: শুক্রাণু জরায়ুর ভেতরে অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়, এ জন্য শুক্রাণুর চলাচলে সক্ষমতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সন্তান ধারণের জন্য মিনিমাম ৪০ শতাংশ বা বেশী সংখ্যক শুক্রাণুর চলাচলের সক্ষমতা বা Sperm Motiltiy থাকতে হবে।
Sperm Morphology: একটি সুস্থ শুক্রাণুর তিনটি অংশ রয়েছে। এগুলো হলোঃ
সুস্থ স্বাভাবিক শুক্রাণুর মাথার অংশ ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে এবং জরায়ুতে চলাচলের জন্য সাহায্যকারী লম্বা লেজ থাকে। বীর্যের ভিতরে যত কম সংখ্যক শুক্রাণুর গড়ন স্বাভাবিক থাকে, তত সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়।
Low sperm count/ Oligozospermia Or Oligospermia : শুকাণুর সঠিক সংখ্যা হলো ১ মিলি বীর্যে ১৫ মিলিয়ন শুক্রাণু থাকেবে। এটির কম হলে এটিকে Low sperm count/ Oligozospermia Or Oligospermia বলা হয়।
Asthenozoosspermia Or Asthenospermia : যদি শুক্রাণুর চলাফেরার ক্ষমতা কম থাকে তাহলে এই রোগের নাম Asthenozoosspermia Or Asthenospermia.
Teratozoospermia Or Teratospermia : যদি শুক্রাণুর গঠনগত সমস্যাকে Teratozoospermia Or Teratospermia বলা হয়।
Azoospermia Or Aspermia : এটি পুরুষের সবচেয়ে কঠিন রোগ। পুরুষের বীর্যে কোন শুক্রাণু থাকে না।
শুক্রাণু উৎপাদনের সঙ্গে শরীরের হাইপোথ্যালামাস, পিটুইটারি গ্ল্যান্ড ও অন্ডকোষের অবদান সবচেয়ে বেশি।
যে সব কারণে শুক্রাণু তৈরীর সংখ্যা কমতে থাকে তা হলোঃ
আরও জানুনঃ গর্ভবতী মায়ের প্রসব পরিকল্পনা কি ? ভালো প্রসব পরিকল্পনায় কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ?
ডিসক্লেইমার: এখানে উপরোক্ত হেলথটিপস এবং পরামর্শগুলি অনুসরণ করার পূর্বে , ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।
রিলেটেড ট্যাগঃ শুক্রাণু কি, শুক্রাণু তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে,শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায়,শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায় ঔষধ, ইসলামে শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায়, শুক্রাণুর গতি বৃদ্ধির উপায়, শুক্রাণু বৃদ্ধির ব্যায়াম, বীর্যে শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায়,শুক্রাণু বৃদ্ধির খাবার
গ্যামেটোজেনেসিস কি ? গ্যামিটোজেনেসিস (Gametogenesis): যৌন প্রজননক্ষম প্রাণীতে জননকোষ সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে গ্যামিটোজেনেসিস বলে। যৌন জননক্ষম…
দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা ? দ্রুত-বীর্য-পাতের-চিকিৎসা-দ্রুত-বীর্য-পাতের-প্রাকৃতিক-চিকিৎসা বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ,হতাশা,অস্থিরতা,হতাশা,কিংবা পারষ্পরিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এর…
পুরুষের বীর্যেরমান উন্নত করে কি খেলে বীর্য অনেক ঘন হয় এবং দ্রুত বীর্য পাত বন্ধ…
হঠাৎ কিডনি বিকল কি বা কিডনি বিকল হওয়ার কি ? আকস্মিক কিডনী বিকল (ARF) করে…
নেফ্রাইটিস কি ? নেফ্রাইটিস হলো কিডনী ইনফেকশন । নেফ্রাইটিস বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি তীব্র…
View Comments