Table of Contents
আকস্মিক কিডনী বিকল (ARF) করে কয়েক ঘন্টা থেকে শুরু করে কয়েকদিনের মধ্যে কিডনীর কার্যকারিতা দ্রুত বিকল হতে থাকে তখন থাকে তখন তাকে আকস্মিক কিডনী বিকল্প বা Acute Renal Failure বলে ।
infertility & Health tips এর আপডেট তথ্য পেতে google news” অনুসরণ করুন
কিডনি ড্যামেজের কারণ নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগের উপর নির্ভর করে এর Prognosis বা ঐ বিকল্প কিডনীর কার্যক্ষমতা ফিরে আসা । কেননা আকস্মিক সময়, সঠিক চিকিৎসায় ৫০-৬০ ভাগ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরাময় হয়। কিডনি ড্যামেজের কারণ বা আকস্মিক কিডনী বিকল হওয়ায়রোগে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে রোগীরঃ
আরও জানুুুনঃ নেফ্রাইটিস কি ? নেফ্রাইটিস কেন হয় ? নেফ্রাইটিস এর সাধারণ কারণ কি ? কিডনি ভালো রাখার উপায় কি ?
কিডনি ড্যামেজের প্রচলিত কারণ হিসেবে একুইট রেনাল ফেলিওরকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় ।
১. Pre-Renal : যদি কোন কারণে (যেমন: অতিমাত্রায় ডায়রিয়া, বমি বা রক্তক্ষরণের ফলে) ব্লাড প্রেসার কমে যায় ও কিডনীতে রক্ত সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে কম হয় ।
২. Renal : সরাসরি কিডনী আক্রান্ত হওয়া যেমন: Acute nephritis, RPGN (Rapidly Progressive Glomerulo Nephritis), ATN (Acute Tubular Necrosis)
৩. Post Renal : যদি কোন ভাবে প্রস্রাবের রাস্তায় বাঁধা প্রাপ্ত হয়ে (পাথর বা অন্য কিছু দ্বারা) কিডনীর কার্যকারিতা নষ্ট হয়, যাকে বলে Obstructive Uropathy.
উল্লেখিত কারণ ছাড়াও চিকিৎসাগত ও Prognosis এর দিক থেকে আকস্মিক কিডনী বিকল বা একুইট রেনাল ফেলিওরকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়-
১. মেডিকেল রোগের কারনে ৪০-৫৫ ভাগ ।
২. সার্জিকেল বা শল্য রোগের কারণে ১০-১৫ ভাগ ।
৩. অবসটেট্রিক বা ধাত্রী বিদ্যা রোগের কারণে ২৫-৩০ ভাগ ।
মেডিকেল রোগের কারণ সমূহের মধ্যে প্রধান কারণগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হল-
কিডনি ড্যামেজের কারণ শল্য রোগের কারণে আকস্মিক কিডনী ফেলিওর সার্জিকেল বা শল্য রোগের কারন সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো-
আকষ্মিক বা একিউট কিডনী বিকল তা যে কারনেই হোক না কেন শরীর খুব দ্রুত অবনতির দিকে চলে যায়। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই প্রস্রাবের পরিমান কমে যায় এবং ক্রমান্বয়ে প্রস্রাব তৈরী সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে । চব্বিশ ঘন্টার প্রসাবের পরিমান অর্ধ লিটারের নিচে হলে তখন তাকে অলিগিউরিয়া (Oliguria ) বলা হয় এবং ৫০ সিসি-র নীচে হলে তখন তাকে এনিউরিয়া (Anuria )বলে ।
প্রসবকালীন জটিলতার কারণে একুইট কিডনী বিকল হলে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা যায়ঃ
আরও জানুনঃ গর্ভাবস্থায় যে সব ভিটামিন খাওয়া যাবে না এবং কোন ভিটামিন খাওয়া যাবে ?
যে কোন কারনে জীবাণুজনিত ইনফেকশন এবং যে কোন সড়ক বা যান্ত্রিক দূর্ঘটনার কারনে আকস্মিক কিডনী বিকল হলে কিডনী ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার লক্ষণ দেখা যেতে পারে । যেমন:
আরও জানুনঃ গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে কি হয় ?গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় ?
আকস্মিক কিডনী বিকল সন্দেহ করার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে উপযুক্ত পরীক্ষা এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন । কেননা আকস্মিক কিডনী বিকল হওয়ার পর প্রতিটি ঘন্টা রোগীর জন্য মূল্যবান । রোগী দেখার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর রোগ সংক্রান্ত ইতিহাস পর্যালোচনা করে কি কারনে কিডনী বিকল হয়েছে তা নিরুপন করা উচিৎ । ত্বরিৎ গতিতে নিম্নলিাখিত পরীক্ষাসমূহ করানো জরুরীঃ
সাধারনত: বর্তমানে বড় বড় শহর, মেডিকেল কলেজগুলোতে অথবা বেসরকারী প্যাথলজি ল্যাবরেটরিতে এ ধরনের পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে । ঢাকায় যে কোন সময় এ ধরনের পরীক্ষা করানো যেতে পারে । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ডায়াবেটিক হাসপাতাল (বারডেম), সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল সংলগ্ন ল্যাবরেটরি এবং মহাখালী কলেরা হাসপাতাল এ ধরনের পরীক্ষার জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । এই পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে কিডনীর কার্যকারিতা কতখানি লোপ পেয়েছে তা নির্ণয় করা যায় এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে তা বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হয় ।
সুতরাং পরীক্ষা ছাড়া আকস্মিক কিডনী বিকলের চিকিৎসা কোন পর্যায়েই করা সম্ভব নয় । যদি রোগীর প্রস্রাব একেবারেই বন্ধ না হয়ে যায় তা হলে সযত্নে প্রস্রাব সংগ্রহ করে তা তাৎক্ষনিকভাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো প্রয়োজন । প্রস্রাবে অ্যালবুমিন, সুগার ছাড়াও অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে শ্বেত কণিকা, লোহিত কণিকা এবং কাস্ট আছে কিনা তা দেখা দরকার । কেননা প্রস্রাব পরীক্ষা করে আমরা কিডনীর ছাকনীর প্রদাহজনিত রোগ থেকে অন্য কারণে আকস্মিক কিডনী বিকল হয়েছে কিনা তা আলাদা করতে পারি ।
উন্নত পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলে প্রস্রাব পরীক্ষা করে প্রস্রাবে কি পরিমাণ ইউরিয়া, সোডিয়াম বা পটাসিয়াম যাচ্ছে তা নিরুপন করে রাখা হয় । পরবর্তী পর্যায়ে চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাগুলো বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হয় । এ ছাড়াও আলট্রাসনোগ্রাম দ্বারা কিডনীর আকৃতি, পাথর জনিত কারণ, প্রস্টেটজনিত কারণ নিরুপণ করা হয় । ৪০ বছরের উপরে বুকের এক্সরে, ইসিজি বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই প্রয়োজন পরে । এমনকি রক্তের হিমোগ্লোবিন, শ্বেত, কণিকার পরিমান অনুচক্রিকা (প্লাটিলেট) এর পরিমান রক্তক্ষরণের অস্বাভাবিকতা ও লিভার ফাংশন পরীক্ষা করার প্রয়োজন পরে । এই সমস্ত পরীক্ষা করার পরেও আকস্মিক কিডনী বিকল অবগত হওয়ার জন্য আরও বিশেষ ধরনের পরীক্ষার প্রয়োজন পড়তে পারে যা কেবলমাত্র উন্নত ল্যাবরেটরিতেই করা সম্ভব । যেমন: কারো কারো বেলায় রক্তের C3, C4, ANF, Anti ds DNA, ANCA ইত্যাদি পরীক্ষা প্রয়োজন সাপেক্ষে করানো হতে পারে । অনেক সময় কিডনীর বায়োপসি (Biopsy) করার দরকারও হয় । বিশেষ করে যে সমস্ত রোগীর Acute Nephritis অথবা RPGN এর কারণে আকস্মিক কিডনী বিকল হয়েছে বলে ধারণা করা হয় ।
কি কারণে রোগীর আকস্মিক কিডনী বিকল হয়েছে তার উপরই চিকিৎসা ঠিক করা হয় ।
এই অতি সাধারণ অসুখেই বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় তিন লক্ষ রোগী মৃত্যুবরণ করে । অথচ সময়মত সঠিক চিকিৎসায় এদের সবাইকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব। একইভাবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, বমন, যানবাহন ও যান্ত্রিক দূর্ঘটনা এবং অগ্নিদগ্ধ হওয়ায় আকস্মিক কিডনী বিকল হয়ে থাকে । অগ্নিদগ্ধের কারণে প্রয়োজন পরে স্যালাইন এবং প্লাজমার । এ ধরনের রোগীকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট এবং উন্নততর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয় । এই ধরনের রোগীদেরকে জীবাণুর আক্রমন থেকে রক্ষা করার জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে রোগী রাখা ছাড়াও প্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিকের দরকার পরে ।
আরও জানুন: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কি ? পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম লক্ষণ ?
উপরোক্ত যে সমস্ত কারণে আকস্মিক কিডনী বিকল হয়ে এদের বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে রক্তের চাপ কমে যাওয়ার দরুন কিডনীর জৈব এবং অজৈব অপ্রয়োজনীয় পদার্থগুলো শরীর থেকে বের করে দিতে ব্যর্থ হয় । যার ফলে শরীরে ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থ জমা হতে থাকে এবং রক্তে অতি প্রয়োজনীয় লবণ পটাশিয়াম এবং ক্ষার জাতীয় পদার্থের তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। রক্তে লবণের পরিমান ১১৫ মিলি ইকোয়িভালন্ট পার লিটার এর নিচে গেলে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে । ঠিক তেমনি শরীরের পটাশিয়াম ২ মিলি ইকোয়িভালন্ট পার লিটারে এর নিচে নেমে গেলে শরীর নিস্তেজ হয়ে অবশ হয়ে যেতে পারে ।
অন্যদিকে শরীরে পটাশিয়াম বেশী পরিমান জমে গেলে (৬.৫ মিলি ইক্যুইভেলেন্ট পার লিটার এর উপরে) হৃদপিন্ডের কাজ শেষ হয়ে যেতে পারে । রক্তে ক্ষারের পরিমান অতিরিক্ত কমে গেলে (১৪ মিলি ইকোয়িভালন্ট পার লিটার এর নীচে) ত্বরিত গতিতে শ্বাস প্রশ্বাস চলতে থাকে । সুতরাং চিকিৎসা পদ্ধতির প্রধান দিকই হলো শরীরের জলীয় পদার্থ পূরণ ছাড়াও রক্তের লবন পটাশিয়াম ও ক্ষার নিয়ন্ত্রনের মধ্যে পুরণ করার ব্যবস্থা । আর সেই জন্যই আকস্মিক কিডনী বিকল হয়ে গেলে এর চিকিৎসা ভাল কোন হাসপাতালে করা প্রয়োজন । অবশ্য এসব রোগ সম্পর্কে যদি মানুষের সচেতনতা থাকে তবে নিকটাত্বীয়-স্বজন রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার লক্ষে সঠিক পদক্ষেপটি গ্রহন করে নিকটস্থ চিকিৎসকের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারে । সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারলে আকস্মিক কিডনী বিকল হওয়ার পূর্বেই রোগীকে নিরাময় করা সম্ভব ।
কিডনির সমস্যা হলে পাঁজরের নিচের অংশে অনুভূত ব্যথা হয় । কিডনীর সমস্যার কারণে ব্যাথা হলে ব্যথা নড়াচড়া করে এবং কোমরের দুই পাশেও যেতে পারে।েএকটু পর পর এই ব্যাথা উঠতে পারে, শুয়ে বা বসে কোন অবস্থায় আরাম মিলবে না এবং শরীরে পানি আসে, শরীর দর্বল, অরুচি এবং বমি বমি ভাব দেখা যায় ।
আরও জানুনঃ মেয়েদের ডিম্বাণু বড় করার উপায় ? কি কি খাবার খেলে ডিম্বাণু বড় হয় ?
শেষ কথাঃ কিডনী মানব শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনী বিকল হলে মৃত্যু অবধারিত। সুতরাং কিডনী ড্যামেজের কারণ সম্পর্কে সতেচতন থাকতে হবে এবং লক্ষণ সমূহ ;দেখা গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ডিসক্লেইমার: এখানে উপরোক্ত হেলথটিপস এবং পরামর্শগুলি অনুসরণ করার পূর্বে , ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।
মেয়েদের ডিম্বাণু কি ? ডিম্বাণু শব্দের ইংরেজি: Egg Cell কিংবা Ovum বলা হয়। মেয়েদের ডিম্বাণু…
গ্যামেটোজেনেসিস কি ? গ্যামিটোজেনেসিস (Gametogenesis): যৌন প্রজননক্ষম প্রাণীতে জননকোষ সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে গ্যামিটোজেনেসিস বলে। যৌন জননক্ষম…
দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা ? দ্রুত-বীর্য-পাতের-চিকিৎসা-দ্রুত-বীর্য-পাতের-প্রাকৃতিক-চিকিৎসা বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ,হতাশা,অস্থিরতা,হতাশা,কিংবা পারষ্পরিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এর…
পুরুষের বীর্যেরমান উন্নত করে কি খেলে বীর্য অনেক ঘন হয় এবং দ্রুত বীর্য পাত বন্ধ…
শুক্রাণু কি ? শুক্রাণু-বৃদ্ধির-উপায়-শুক্রাণু-কমে-যায়-যাওয়ার-কারণ শুক্রাণু বলতে পুরুষ প্রজনন কোষকে বোঝায় যা অণ্ডকোষে উৎপন্ন হয়। শুক্রাণু…
নেফ্রাইটিস কি ? নেফ্রাইটিস হলো কিডনী ইনফেকশন । নেফ্রাইটিস বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি তীব্র…