পোস্ট সামারীঃ
- টেস্ট টিউব বেবি কি ?
- টেস্ট টিউব বেবি কিভাবে হয় ?
- এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি কাকে বলে ?
- এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি কেন হয় ?
- এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির লক্ষণ ?
- টিউবে প্রেগনেনসির উপসর্গ ?
- অ্যাবডোমিনাল প্রেগন্যান্সি ?
- ফেটে যাওয়া একটোপিক গর্ভাবস্থা ?
টেস্ট টিউব বেবি কি ?
টেস্ট টিউব বেবী ( Test Tube Baby):
আক্ষরিক অর্থে ‘টেস্ট টিউব বেবী’ কথাটি সঠিক নয়। টেস্ট টিউবের ভেতর বেবী জন্ম নেয় না বা বেবীর জন্মের জন্য টেস্ট টিউবও ব্যবহার করা হয় না ।
টেস্ট টিউব বেবি কিভাবে হয় ?
টেস্ট টিউব বেবী পদ্ধতিতে মায়ের ডিম্বাশয় হইতে ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হয়। তারপর বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিটি ডিম্বাণুর মধ্যে তার স্বামীর নিকট হতে সংগ্রহ করা ১টি করে শুক্রাণু ঢুকিয়ে (Inject) দেওয়া হয়। তারপর এই ডিম্বাণুগুলোকে ল্যাবরেটরিতে কয়েকদিন কালচার বা লালন পালন করা হয় । এ অবস্থায় ডিম্বাণু ও শুক্রকিটের মিলনের ফলে ভ্রূণ বা এ্যামব্রায়ো (Embryo) তৈরি হয় । তারপর ভ্রূণগুলো হতে উৎকৃষ্ট কয়েকটি ভ্রূণ মায়ের জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়। এই পদ্ধতিকে সাধারণভাবে টেস্ট টিউব বেবী বলা হয়ে থাকে ।
প্রতিস্থাপিত ভ্রূণ তারপর মায়ের জরায়ুতে স্বাভাবিক গর্ভের সন্তানের মতোই বেড়ে ওঠে ।
এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি কাকে বলে এবং এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি কেন হয় ?
অস্বাভাবিক স্থানে বাচ্চা আসা (একটোপিক প্রেগনেন্সি, Ectopic pregnancy):
ছবি থেকে দেখা যাবে, এর দুপাশে দুটি নল থাকে । এই জরায়ুর নলগুলোর নাম ফিলোপিয়ান টিউব (Fellopian tube)। ঐ ছবি থেকে আরও দেখা যাবে যে, ফেলোপিয়ান নল বা টিউবের শেষপ্রান্তে ডিম্বাণু ও শুক্রকীটের মিলনই মানব ভ্রূণের সৃষ্টির প্রথম পদক্ষেপ। এই ঘটনাকে ডিম্বাণুর নিষিক্ত (Fertilization) হওয়া বলে । নিষিক্ত ডিম্বাণু বিভক্ত হতে থাকে এবং ভ্রূণে পরিণত হয় । এই ভ্রূণ ফেলোপিয়ান টিউবের মধ্য দিয়ে আস্তে আস্তে জরায়ুর দিকে ধাবিত হয় এবং জরায়ুর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ মানব সন্তানে পরিণত হয় । কিন্তু কোন কারণে যদি নিষিক্ত ডিম্বাণু ফিলোপিয়ান নলটি অতিক্রম করে জরায়ুতে পৌছাঁতে না পারে তখন এই নিষিক্ত ডিম্বাণু ফিলোপিয়ান টিউবের মধ্যেই বাড়তে থাকে। এটাকে একটোপিক প্রেগনেন্সি (Ectopic pregnancy) বা টিউবাল প্রেগনেন্সি বলা হয়।
আরও পড়ুনঃ খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা ? লেবু পাতার উপকারিতা ? ক্যান্সার প্রতিরোধে লেবু
অ্যাবডোমিনাল প্রেগন্যান্সি এবং ফেটে যাওয়া একটোপিক গর্ভাবস্থা ?
টিউবে অভ্যন্তরে ভ্রূণটি প্রতিদিন বাড়তে থাকে । কিন্তু টিউবের পক্ষে বাড়ন্ত ভ্রূণকে জায়গা দেওয়া সম্ভব হয় না । ফলে টিউবটি ফেটে যায় এবং রোগীর পেটের মধ্যে মারাত্মক রক্তক্ষরণ হতে থাকে । এই অবস্থায় দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা না নিলে রোগী মারা যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ।
টিউবাল প্রেগনেন্সির জটিলতা হতে বাঁচতে হলে, এই অবস্থাকে প্রথমদিকেই দ্রুত সনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে । কেননা শেষ মাসিকের প্রথম দিন হতে ৬-৭ সপ্তাহের মধ্যেই টিউব ফেটে যায় । অথচ এটা সনাক্ত করা গেলে আজকাল পেট না কেটে ওষুধের মাধ্যমেই চিকিৎসা করা যায় ।
এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির লক্ষণ বা টিউবে প্রেগনেনসির উপসর্গ ?
মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাসিক বন্ধ হওয়ার পর আপনার মনে হতে পারে যে আপনি গর্ভধারণ করছেন । সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উপসর্গ হলো:
- নিচের পেটে বেশ ব্যথা ।
- আপনি অজ্ঞান হয়েও যেতে পারেন।
- বিশেষ করে, পায়খানা ও প্রস্রাব করার পর এই অজ্ঞান হওয়াটা বেশি হয়ে থাকে;
- মাসিকের রাস্তায় একটু একটু রক্তক্ষরণ হতে পারে ।
To get latest update news form “ google news” about infertilities .
এইসব উপসর্গ থাকলে দ্রুত আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত ।
টেস্ট টিউব বেবি কি,টেস্ট টিউব বেবি কি ?,টেস্ট টিউব বেবি কিভাবে হয় বিস্তারিত ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
রিলেটেড ট্যাগঃ টেস্ট টিউব বেবি কি,টেস্ট টিউব বেবি কি ?,টেস্ট টিউব বেবি কিভাবে হয় ?,এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি কাকে বলে ?,এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি কেন হয় ?,এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির লক্ষণ ?,টিউবে প্রেগনেনসির উপসর্গ ?,অ্যাবডোমিনাল প্রেগন্যান্সি ?, ফেটে যাওয়া একটোপিক গর্ভাবস্থা ?