Table of Contents
গর্ভাবস্থায় টিকা দেওয়ার নিয়ম ?
গর্ভকালীন সময়ে মায়ের প্রয়োজন বিশেষ যত্ন। মহিলাদের গর্ভধারনের আগেই নিজের স্বাস্থ্য, গর্ভধারণ ও সন্তান পালন সম্পর্কিত বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার। কারণ একজন সুস্থ্য মা-ই পারে একটি সু্স্থ ও স্বাভাবিক সন্তান জ্ম্ম দিতে। তাই গর্ভবতী মায়ের জন্য চাই সঠিক খাতির ও পরিচর্যা। গর্ভকালীন পরিচর্চা বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করার জন্য পারে।
infertility & Health tips এর আপডেট তথ্য পেতে google news” অনুসরণ করুন
গর্ভবতী মায়ের লক্ষণ কি কি ?
• মাসিক অফ থাকা।
• বমি বমি ভাব।
• স্তনে ব্যথা।
গর্ভাবস্থায় টিকা কেন জরুরী ?
টিকা ক্ষতিকর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। গর্ভাবস্থায় টিকা নিলে আপনি এবং আপনার সন্তান উভয়েই ক্ষতিকর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবেন।গর্ভাবস্থায় টিকা নিলে আপনার সন্তানটি জন্মের কয়েকমাস পরেও তার টিকা চালু করার আগ পর্যন্ত নিরাপদ থাকে। আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আপনার গর্ভের সন্তানকে বিভিন্ন অসুখ হতে রক্ষা করবে।
গর্ভকালীন কোন টিকা প্রয়োজন ?
টিটেনাস (ধনুষ্টংকার) হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য টিটি টিকা নিতে হয়। হবু মায়েদের টিটি টিকা নিতে হবে যেন বাচ্চার ধনুষ্টঙ্কার না হয়। যদি আগে কোণ টিকা নেওয়া না থাকে, তবে সবগুলোই দিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় টিটি টিকা দেওয়ার নিয়ম ?
গর্ভাবস্থায় মাকে টিটেনাসের টিকা দিলে তা নবজাতকের টিটেনাস প্রতিরোধ করে ।
যদি কোন মহিলা গর্ভাবস্থার পূর্ব থেকে টিটেনাস প্রতিরোধক টিকা শুরু করে থাকেন, তবে নিয়মানুযায়ী তা চালিয়ে যেতে হবে। আর যদি তিনি পূর্বে কখনও টিটেনাস প্রতিরোধক টিকা না নিয়ে থাকেন, তবে টিটেনাস প্রতিরোধে সারাজীবনের জন্য নিম্নের সিডিউল অনুযায়ী ৫ ডোজ টিকা নিতে হবে ।
আরও জানুন: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কি ? পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম লক্ষণ ?
গর্ভবতী অবস্থায় টিটি টিকা দেওয়ার নিয়ম :
টিটেনাস টিকা কতদিন পরপর দিতে হয় :
১. গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে — প্রথম ডোজ
২. তার একমাস পর— দ্বিতীয় ডোজ
৩. দ্বিতীয় ডোজের ছয় মাস পর—তৃতীয় ডোজ
৪.তৃতীয় ডোজের ১ বৎসর পর—চতুর্থ ডোজ
৫. চতুর্থ ডোজের ১ বছর পর— পঞ্চম ডোজ ।
গর্ভাবস্থায় মাকে টিটেনাসের টিকা দিলে তা নবজাতকের টিটেনাস প্রতিরোধ করে । এ ব্যাপারে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা ভালো ।
গর্ভকালীন সময়ে কোন বিশেষ টিকা মহিলাদের নিতে হয় ?
পুরুষদের যা যা টিকা নিতে হয় তা মেয়েদের বাচ্চা বয়সেই নিতে হবে । যেমন: হেপাটাইটিস এ এবং বি, ধনুষ্টঙ্কার, হাম, যক্ষ্মা ইত্যাদি । সন্তানের নিরাপত্তার জন্য মহিলাদেরকে আরও কয়েকটি টিকা বেশি নিতে হবে। এদের একটি হলো জার্মান মিজেলস (German measles) বা রুবেলা (Rubella) রোগের প্রতিশেধক টিকা । স্কুল বয়সেই এই টিকা নিতে হয় । যাদের স্কুল বয়সে এই টিকা নেয়া হয়নি, তাদেরকে অবশ্যই গর্ভধারণ করার পূর্বে এই টিকা নিতে হবে । জার্মান মিজেলস এক ধরনের হাম । এই মিজেলস হলে মায়ের একটু জ্বর, শরীরে কিছু ছোট ছোট দানা ওঠে । অথচ গর্ভাবস্থায় যদি এই মিজেলস মায়ের হয়ে থাকে, তবে গর্ভের সন্তানের প্রায় সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ত্রুটি দেখা দেয় । যার ফলে পেটে বাচ্চা মারা যেতে পারে অথবা পরবর্তীতে শিশুর জীবনে মারত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে । অথচ টিকা দিলে এবং টিকা দেওয়ার তিন মাস পর রক্ত পরীক্ষা করে আপনি যদি নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনার দেহে যথেষ্ট প্রতিরোধ তৈরি হয়েছে, তবে এই রোগের ভয়াবহতা হতে রক্ষা পাওয়া যায়। মনে রাখতে হবে যে, গর্ভাবস্থায় এই টিকা নেওয়া যায় না এবং টিকা নেওয়ার দিন হতে তিন মাসের মধ্যে গর্ভধারণ করা যাবে না । মনে রাখতে হবে যে, ধনুষ্টঙ্কার ছাড়া অন্য কোন টিকা গর্ভাবস্থায় নেওয়া যায় না ।
আরও জানুনঃ মেয়েদের ডিম্বাণু বড় করার উপায় ? কি কি খাবার খেলে ডিম্বাণু বড় হয় ?
মহিলাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আরও একটি টিকা নেয়া জরুরী । এই টিকা তাদেরকে জরায়ু মুখের ক্যান্সার হতে নিরাপত্তা দেবে । এই টিকা হতে পূর্ণ উপকার পেতে হলে বিয়ের আগেই এই টিকা নেওয়া উত্তম । বিবাহিত মহিলারাও এই টিকা হতে উপকার পেতে পারেন, তবে সম্পূর্ণ উপকার নয়। এই টিকা হিসাবে ৩টি ইনজেকশন নিতে হয়। প্রথমটির ছয় সপ্তাহ পর দ্বিতীয়টি এবং দ্বিতীয়টির ছয় মাস পর তৃতীয়টি নিতে হবে। টিকা দিয়ে জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধের ব্যবস্থাকে প্রাথমিক (Primary) প্রতিরোধ বলা হয়। এছাড়া “ভায়া” (VIA) বা পেপস্ স্মিয়ার (Pap’s smear) ইত্যাদি নিয়মিত পরীক্ষা দ্বারা জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। এই ব্যবস্থাকে সেকেন্ডারি (Secondary) প্রতিরোধ বলা হয় ।
আরও জানুনঃ গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা এবং গর্ভবতী মায়ের খাবার ?
গর্ভাবস্থায় টিটি ইনজেকশন কি নিরাপদ ?
নবজাতকের টিটেনাস প্রতিরোধের জন্য 1960 সাল থেকে গর্ভবতী মহিলারা টিটেনাস তার সাথে ডিপথেরিয়া টক্সয়েড (Td) এবং টেটেনাস টক্সয়েড (TT) উভয় টিকা পাচ্ছেন। গর্ভাবস্থায় পরিচালিত Td তার সাথে TT টিকাগুলি মা বা শিশু/ভ্রূণের ক্ষতি করার জন্য লক্ষ্য যায়নি ।
ডিসক্লেইমার: এখানে উপরোক্ত হেলথটিপস এবং পরামর্শগুলি অনুসরণ করার পূর্বে , ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।
রিলেটেড ট্যাগঃ গর্ভাবস্থায় টিকা দেওয়ার নিয়ম, টিটি টিকা দেওয়ার নিয়ম, গর্ভবতী অবস্থায় টিটি টিকা দেওয়ার নিয়ম, গর্ভকালীন সময়ে কোন টিকা নিতে হয়, টিটি টিকা কখন দিতে হয়, টিটি টিকা না দিলে কি হয়, টিটেনাস টিকা কতদিন পরপর দিতে হয়, টিটেনাস টিকা না নিলে কি হবে?, গর্ভাবস্থায় টিটি টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া,গর্ভকালীন কোন টিকা প্রয়োজন