গর্ভাবস্থায় সহবাস ?

সহবাস প্রাকৃতিক ক্রিয়াকলাপের মধ্যে একটি অন্যতম ক্রিয়া । সন্তান হলো স্বামী ও স্ত্রীর পরস্পরের ভালোবাসার ফসল । কাজেই প্রত্যেক দম্পতিই চাইবেন যে, তাদের এই ক্রিয়াতে কোন বাধা যেন না আসে । ডাক্তারি মতে বিশেষ কোন কারণ ছাড়া গর্ভাবস্থায় সহবাসের কোন বাধা-নিষেধ নেই ।

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম এবং কখন সহবাস না করা ভাল ?

  • যাদের আগে সন্তান নষ্ট হওয়ার ইতিহাস আছে, তাদের বেলায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত ।
  • সন্তান নষ্ট হওয়ার ইতিহাস থাকলে সাধারণত প্রথম ১৪ সপ্তাহে বা যাদের অধিক সন্তান নষ্ট হওয়ার ইতিহাস আছে, তাদের বেলায় আরও অধিক সময়ের জন্য ডাক্তার সহবাস না করার পরামর্শ দিতেপারেন।
  • গর্ভকালীন সময়ের প্রথম দিকে রক্তক্ষরণ হলে সাধারণত রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বা আরও কিছু সময় পর পর্যন্ত সহবাস না করাই ভালো।

আরও জানুনঃ গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সহজ ঘরোয়া পরীক্ষায় জেনে নিন ? ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা জানার উপায়?

  •  যাদের গর্ভকালীন সময়ের শেষের দিকে রক্তক্ষরণ হয় এবং ডাক্তার যদি মনে করেন যে সন্তানের ফুলটি নিচের দিকে আছে, তবে তখন অবশ্যই সন্তান জন্ম না হওয়া পর্যন্ত সহবাস থেকে দূরে থাকতে হবে ।
  • সহবাস স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে অন্তরঙ্গ ক্রিয়া আর এর জন্য চাই পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি ও শ্রদ্ধা। একজনকে আরেকজনের সুবিধা ও অসুবিধা অবশ্যই দেখতে হবে। যেহেতু গর্ভাবস্থায় স্ত্রীর শরীর সব সময় ভালো থাকে না সেহেতু স্বামীকে স্ত্রীর শরীরের দিকে নজর দিতে হবে। গর্ভে বাচ্চার বৃদ্ধির ফলে অনেক সময় চিৎ হয়ে সহবাস স্ত্রীর জন্য কষ্টের কারণ হয়। এমতাবস্থায় কাত হয়ে শুয়ে সহবাস করা যেতে পারে। অন্যদিকে স্ত্রীকেও স্বামীর দিকে নজর দিতে হবে ।

infertilityorg

infertility & Health tips এর আপডেট তথ্য পেতে google news” অনুসরণ করুন

গর্ভাবস্থায় সহবাস করলে কি ক্ষতি হয় ?

প্রত্যেক স্বামীই পিতা হতে চায়, তবে এই পিতৃত্ব লাভের জন্য সে তার

স্ত্রীর সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক হারাতে চায় না । মনে রাখতে হবে, নর-নারীর বিয়েটাই হলো পরস্পরের সুবিধা ও অসুবিধার প্রতি যত্নশীল ও শ্রদ্ধাশীল হয়ে একই ছাদের নিচে বসবাস করার একটা চুক্তি মাত্র ।

অনেকের ধারণা সহবাস বাচ্চার ক্ষতি সাধন করতে পারে। মায়ের জরায়ুতে বাচ্চা খুব ভালোভাবেই রক্ষিত থাকে । বাচ্চা থাকে জরায়ুতে আর সহবাস করা হয় যৌননালীর মধ্যে, কাজেই সহবাস বাচ্চার ক্ষতি সাধন করতে পারে না । অবশ্য যাদের সন্তান নষ্ট হওয়ার ইতিহাস আছে তাদের কথা অন্যরূপ এবং তাদের কথা আগেই বলা হয়েছে ।

আরও জানুনঃ প্রসব পরবর্তী বিপদ চিহ্ন বা প্রসব পরবর্তী জটিলতা ? নবজাতকের বিপদ চিহ্ন কয়টি ও কি কি?

গর্ভাবস্থায় সহবাস
গর্ভাবস্থায় সহবাস

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার উপকারিতা ?


একবার বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পরে আপনি নিজের সঙ্গীর সাথে যৌন সঙ্গম করার জন্য নিজেকে শারীরিক তার সাথে মানসিকভাবে রেডি দেখতে পাবেন না, এটা স্পষ্ট। আবার ছন্দে ফিরে আসতে আপনার বেশ কিছুটা সময় লাগতে পারে, তাই আপনার সেক্স ড্রাইভটি অনুসরণ করুন এবং গর্ভাবস্থায় কিছুটা প্রেমময়তায় লিপ্ত হন। সেক্স কোনো নারীকে তার গর্ভবতী অবস্থার দেহ সম্মন্ধে ভাল অনুভব করতে তার সাথে দম্পতির ভিতরে সম্পর্ক কঠিন করার জন্য সহায়তা করে। গর্ভাবস্থায় যৌনসঙ্গম এক স্বামী ও স্ত্রী সংখ্যায় আপনাদের জীবনে চালু হতে চলা পরিবর্তনগুলির মোকাবেলা করার জন্য যে আপনারা যোগ্য তা নিশ্চিত করার এক দুর্দান্ত উপায় হতে পারে।

আরও জানুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি সমস্যা হয় ? গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেস কি ? মর্নিং সিকনেসে স্ত্রীর চিকিৎসা ?



গর্ভাবস্থায় যৌনসঙ্গমের প্রচুর অনুগ্রহ বিদ্যমান – কিছুটা শারীরবৃত্তীয় এবং কিছুটা সংবেদনশীল। এটা মানসিক চাপ কমাতে এবং রাতে অনেক ভালো নিদ্রা পেতে হেল্প করতে পারে। এটা সরল প্রসবে সহায়তা করার জন্য পারে তার সাথে শুক্রাণুর কিছু উপাদান গর্ভবতী মহিলাদেরকে প্রভাবিত করার জন্য পারে এইরকম কোনো বেদনাদায়ক অবস্থা অপচয় করতে পারে। গর্ভাবস্থায় যৌনতার উপকারিতাগুলি জানতে পড়ুন।

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার উপকারিতা



১. দেহে রক্ত সংবহনে সাহায্য
মা তার সাথে ক্রমবর্ধমান শিশুর প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণের জন্য গর্ভাবস্থায় রক্ত ​​সরবরাহ দ্বিগুণ হয়, কিন্তু আস্তে ধীরে সঞ্চালন এই প্রক্রিয়াটিতে বাধা প্রস্তুত করার জন্য পারে। গর্ভাবস্থায় যৌনমিলনের প্রচুর উপকারের ভিতরে ১টি হল বর্ধিত রক্ত সঞ্চালন। হরমোন নিঃসরণের সাথে সঙ্গে ভ্রূণের এক্সট্রা অক্সিজেন ও পুষ্টির সরবরাহে যৌনতা সাহায্য করে, যার ফলস্বরূপ ভ্রূণের বৃদ্ধি এবং বিকাশে সহায়তা হয়।

আরও জানুন: আলট্রাসনোগ্রাফি কি এবং এর উপকারিতা কি কি ?সন্তান ছেলে বা মেয়ে হওয়ার জন্য দায়ী কে ?



২. আরও ভালো তৃপ্তি তার সাথে আরও ভাল অর্গাজম


ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন নিঃসরণ, যা গর্ভাবস্থার দুইটি উৎকৃষ্ট হরমোন, মহিলাদের এইরকম ভাল অর্গাজমের এক্সপেরিয়েন্স পেতে সহায়তা করে। ইস্ট্রোজেনের বৃদ্ধি শ্রোণী এলাকায় এইরকম রক্ত প্রবাহের দিকে চালিত করে, যার ফলে একজন নারীকে অধিক উত্তেজিত করে। ওই এরিয়ায় সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি মহিলাদের এইরকম ভালো অর্গাজম অর্জন করতে সহায়তা করে। এটা গর্ভাবস্থায় সহবাসের সেরা দীর্ঘস্থায়ী সুবিধা।

আরও জানুন: মেয়েদের ডিম্বাণু বড় করার উপায় ?কি কি খাবার খেলে ডিম্বাণু বড় হয়? মেয়েদের ডিম্বাণু বড় করার উপায় ?


৩. পেলভিক ফ্লোর পেশীকে শক্তিশালী করে


গর্ভাবস্থায় যৌনতার সবচেয়ে বড় উপকারিতাগুলির ভিতরে একটি হল এটা পেলভিক ফ্লোরের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে, বিশেষত তৃতীয় ত্রৈমাসিকে। গর্ভাবস্থায় রোজ যৌন ঐক্য যোনিগত প্রসবের শক্ত কাজটি মোকাবেলায় এই পেশীগুলিকে টোন করে তার সাথে শক্তিশালী রাখে।

আরও জানুনঃ গর্ভবতী মায়ের যত্ন কি কি এবং গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা ? গর্ভবতী মায়ের কি কি চেকআপ করা দরকার ?



৪. অনাক্রম্যতা উন্নয়ন করে এবং রোগপ্রতিরোধ বাড়ায়


গর্ভবতী মহিলার প্রায়শই অনাক্রম্যতা ক্ষতি পেতে পারে। চিকিত্সকরা স্বাস্থ্যকর ডায়েট তার সাথে জীবনধারা সিলেক্ট করে, যাতে গর্ভবতী মহিলারা কোনো অসুস্থতার প্রতি সংবেদনশীল না হয় এবং যৌনতা প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করার জন্য ইম্পোর্টেন্ট ভূমিকা পালন করে।

আরও জানুনঃ  গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা এবং গর্ভবতী মায়ের খাবার ?



গবেষকরা দেখেছেন যে যৌন ক্রিয়াকলাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে আইজিএ অ্যান্টিবডিগুলির মাত্রা বৃদ্ধি করে তার সাথে সিজনাল ঠান্ডা-সর্দি এবং ফ্লু প্রতিরোধে হেল্প করে, যা গর্ভাবস্থায় সাধারণ, যদিও এটি এখনও বিতর্কিত তথ্য।

৫. দম্পতির মধ্যে থাকা বন্ধনকে পুষ্ট করে


গর্ভাবস্থায় যৌনতা এন্ডোরফিন প্রকাশ করে যা চাপের মাত্রা ক্ষয় করে, যা শিশু এবং মাকে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ যোগাড় করে। এগুলি ছাড়াও যৌনতা অক্সিটোসিনের উত্পাদন বাড়ায়, যা মানসিক সংযুক্তি এবং প্রেমের জন্য দায়ী হরমোন। এটা সঙ্গীদের মধ্যে আরও ভাল বন্ধন তার সাথে ঘনিষ্ঠতা উদ্দীপিত করে। আপনি যদি গর্ভাবস্থার পর্যায়ে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে নিত্য সেক্স করেন কিন্তু এটা একটি শক্ত বন্ধন সৃষ্টি করতে পারে এবং গর্ভাবস্থা ও প্রসব শ্রমের জটিলতা-মুক্ত অগ্রগতিতে সহায়তা করে।

আরও জানুনঃ লটকন কি ? লটকনের উপকারিতা ? লটকন গর্ভাবস্থায় লটকন এর উপকারিতা ?


৬. রক্তচাপ কমায়


যৌনউত্তেজনার পরের প্রকাশিত হরমোনগুলির কারণে অবিরাম শরীরটি একটি স্বাচ্ছন্দ্যময় ও আরাম-দায়ক অবস্থায় চলে যায়, যা রক্তচাপ অপচয় করে। তবে এটি প্রিক্ল্যাম্পসিয়া হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে না এবং প্রিক্ল্যাম্পিয়ার ক্ষেত্রে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরী।

৭. আত্মমর্যাদা উন্নয়ন করে


গর্ভাবস্থায় যৌনমিলন আত্মমর্যাদাবোধকে উন্নত করতে পারে। গর্ভাবস্থায় আপনার শরীরে অনেক শারীরিক পাল্টানো গ্রহণ করে পরিশ্রান্ত থেকে পারে – আপনি হয়তো-বা নিজেকে বয়স্কদের মতো ভাবতে পারেন, যা আপনাকে কম আকর্ষণীয় বোধ করাতে পারে। আপনার শরীরটি নিজের নয় বলে মনে করা সাধারণ ব্যাপার। বর্ধিত সেক্স ড্রাইভ এই ক্ষেত্রে আপনাকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাস দিতে পারে এবং নিজের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব বিকাশে সহায়তা করতে পারে। এটা আপনি নিজেকে কেমনে দেখেন এবং অন্যরা আপনাকে কেমনে দেখে তার ১টি ডিফারেন্স প্রস্তুত করবে।

Read More: Jackfruit Seeds Benefits & jackfruit seeds Precautions and Side Effects ?


৮. মূত্রের লিকেজ কমানো তার সাথে মূত্রথলিতে বেশ ভালো নিয়ন্ত্রণ


আপনি গর্ভাবস্থায় নিজেকে গভীর গাঢ় বাথরুমে যেতে দেখতে পারেন, বা আপনি হাসি, কাশি বা হাঁচির টাইম সামান্য মূত্র বের হওয়ার অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। সেক্স পেশী সংকোচনে নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের শক্তিশালী করার জন্য সহায়তা করে, যার ফলে প্রস্রাবের নির্ঝর নিয়ন্ত্রণে সহায়তা হয়।


৯. প্রসবোত্তর আরোগ্যলাভ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে


গর্ভবতী ভদ্র মহিলা যখন প্রসবের জন্য শ্রোণীর পেশীকে প্রস্তুত করেন, তখন যৌনতার সময় প্রচণ্ড উত্তেজনা হয়, যার ফলস্বরূপ প্রসবোত্তর পুনরুদ্ধারে গতি এইরকম দ্রুত হয়। আপনি যদি শ্রোণীর পেশী শক্তিশালী করার জন্য কেগেল ব্যায়াম অনুশীলন করতে সক্ষম না হন কিন্তু সেগুলির সংকোচনের জন্য কিছুটা যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হন।

আরও জানুনঃ ডায়াবেটিস কি ? ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় বা ডায়াবেটিস কমানোর উপায় ?



১০. প্রসব শ্রম এবং সোজা প্রসবে সহায়তা


গর্ভাবস্থায় রোজ সেক্স পেলভিক পেশী সংকোচন করতে এবং জরায়ুকে খুলতে সহায়তা করে। এটি যোনিগত প্রসবের ক্ষেত্রে সহায়তা করে, রিজন প্রসব শ্রমের প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যায় তার সাথে বাচ্চাকে বাইরে আনতে কোনো বাহ্যিক সহযোগিতার চাই হয় না। কয়েকজন ডাক্তার এমনকি প্রসব শ্রম প্ররোচিত করার জন্য আপনার প্রসবের নির্ধারিত তারিখের কাছাকাছি সময় সেক্স করার উপদেশ দেন।

গর্ভাবস্থায় যা পরিহার করা উচিত ?

পশ্চিমা জগতের মহিলাদের দুটি সমস্যা হলো- ধূমপান ও মদ্যপান। যে সব মহিলা গর্ভাবস্থায় ধূমপান করেন তাদের সন্তান আকারে ছোট হয় । এ ছাড়াও এইসব মহিলাদের মধ্যে মাতৃগর্ভে সন্তানের মৃত্যু ও সন্তান বিকলাঙ্গ হওয়ার হার বেশি ।

আরও জানুনঃ ভিটামিন ডি কি ? ভিটামিন ডি এর উপকারিতা ? ভিটামিন ডি এর অভাবে কি কি হয় ?

ধূমপানের মতো গর্ভাবস্থায় মদ্যপান সন্তানের অনেক ক্ষতিসাধন করতে পারে । মদ্যপায়ী মহিলাদের সন্তান আকারে ছোট হয় । এছাড়া সন্তান নষ্ট হওয়া, মানসিক বিকৃতি, জন্মগত হৃদরোগ ইত্যাদি নানাবিধ জটিলতা দেখা দিতে পারে । কাজেই গর্ভাবস্থায় ধূমপান ও মদ্যপান অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে ।

আজকাল সামাজিক পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের দেশের মহিলারা নিজেদের দৈহিক সৌন্দর্য রক্ষায় সচেতন হয়েছেন এবং দৈহিক সৌন্দর্য রক্ষা করার জন্য ডায়েটিংয়ের আশ্রয় নিচ্ছেন। কিন্তু গর্ভাবস্থায় ডায়েটিং করা উচিত নয় । তাই ডায়েটিং যদি করতেই হয় তবে তা গর্ভধারণ করার আগে বা সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে করা উচিত ।

ডিসক্লেইমার: এখানে উপরোক্ত হেলথটিপস এবং পরামর্শগুলি অনুসরণ করার পূর্বে , ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।

রিলেটেড ট্যাগঃ গর্ভাবস্থায় মদ্যপান ও ধুমপান,গর্ভাবস্থায় সহবাস, গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম, গর্ভাবস্থায় সহবাস করার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় সহবাসের সঠিক নিয়ম, গর্ভাবস্থায় সহবাস করার বিভিন্ন পদ্ধতি, গর্ভাবস্থায় সহবাস কতটা নিরাপদ, গর্ভাবস্থায় সহবাস করলে কি ক্ষতি হয়, স্ত্রীর গর্ভাবস্থায় সহবাসের নিয়ম,